আমার রিসেন্ট একটা কেইস স্টাডি শেয়ার করছি।
প্রায় বছরখারনক আগে এক ভায়ের মাধ্যমে সাইটগ্রাউন্ডে হোস্ট করা ওয়েবসাইট ম্যালওয়্যার ইনফেক্টেড হওয়ার একটা কাজ পাই। যিনি কাজটার ভায়া ছিলেন তিনিও ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন ডেভেলপার কিন্ত কোন কারণে হয়তো সাইট ক্লিন করার পরও বারবার এফেক্টেড হয়েছে তাই তিনি পোস্ট দেন এই বিষয়ে।
আমি নক করে আমার এক্সপার্টিজ শেয়ার করলে মেইন ঔনারের সাথে কানেক্ট করিয়ে দেন। ওয়েবসাইটটা সাইটগ্রাউন্ডে হোস্টেড ছিল এবং সাসপেন্ড করে দিয়েছিল ম্যালওয়্যারের কারণে।
এর পূর্বে নোটিস দিয়েছিল যেন সাইট ক্লিন করা হয় নাহলে সাসপেন্ডেড করে দিবে।
উনি আমাকে উনার মেইল এক্সেস দেন তাই প্রিভিয়াস মেইলগুলো দেখতে পারি।
আমি প্রিভিয়াস মেইলগুলো পড়ে ওভারঅল বিষয়টি নিয়ে সাইটগ্রাউন্ডের লাইভ চ্যাট সাপোর্টে নক করি। বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তারা কিছু সময়ের জন্য সাইট আনসাসপেন্ডেড করে দেয়।
তারপর আমি ম্যালওয়্যার, ব্যাকডোর চেক করে তা রিমুভ করে সাইট এর সিকিউরিটি এনহ্যান্সমেন্ট সহ একটা কমপ্লিট সলিউশন দিয়ে দেই।
এবং ৭ দিনের জন্য সাইট অবজার্ভেশনে রাখি যেহেতু আগেই বলে দিয়েছে পূর্বে রিমুভ করার পরও আবার এফেক্টেড হয়।
- ক্লায়েন্ট খুব খুশী এবং ভাল একটা সম্পর্ক এবং ট্রাস্ট বিল্ড হয় এই কাজের মাধ্যমে।
রিসেন্টলি উনি আমাকে নক দেয় আমাকে অনেক খোঁজার পর তার ভাষ্যমতে। উনার সাইট স্লো আর সাইটের রিডিজাইন করাবেন তাই। আমি প্রথমে রিডিজাইনের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর কেন সাইট স্লো হচ্ছে তা জানার জন্য সাইটগ্রাউন্ডের এক্সেস নিলাম।
উল্লেখ্যে, তার কিছুদিন পরই নাকি সাইট স্লো কাজ করত কিন্ত তারা সেটি নিয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারে নি কারণ ৩ বছরের জন্য হোস্টিং একেবাবে নিয়ে নিয়েছিল।
এখন রিনিউয়ের সময় আসছে তাই এই বিষয়টি উত্থাপন করেছে। তারপর আমি চেক করে দেখলাম এটা সিঙ্গাপোর লোকেশনের হোস্টিং। কিন্ত ক্লায়েন্ট কাজ করে ইউকে থেকে এবং টার্গেট ভিজিটর ইউ এস এ ।
আমি যখন ক্লায়েন্টকে বললাম কেন সিঙ্গাপোর এর সার্ভার নিলেন? উনি জানাল আমরা তো ইউ এস এ লোকেশনের ই হোস্টিং নিয়েছিলাম। বিষয়টা নিয়ে খটকা বাধায় আমি লাইভ চ্যাটে নক করে বিষয়টা বলি।
- বাট উত্তর শুনে আমি তাজ্জব হয়ে গেছি।
তারা বলছে ইউ এস এ লোকেশনের হোস্টিং ই ছিল কিন্ত বাংলাদেশের কোন আইপি থেকে রিকোয়েস্ট যাওয়ায় তারা সেটাকে এশিয়া ভেবে সিঙ্গাপোরে রিলোকেট করে দিয়েছিল। আমি বললাম এটা মাল্টি কান্ট্রি থেকে অপারেট হয় কিন্ত টার্গেট ভিজিটর তো ইউ এস এ। পরে বলছে রিলোকেট করলে এখন এক্সট্রা ৫ ডলারর মত খরচ হবে।
আমি উনাদের বলার পর উনি আমাকে সম্পূর্ণ দ্বায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন এখান থেকে মাইগ্রেট করে ফেলবেন। ভাল একটা হোস্টিং কোম্পানির সন্ধান দিতে। আমি দেখতে পেলাম ডোমেইন প্রাইভেসির জন্য আরো প্রায় ২০ ডলার খরচ হয়।
- বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর বলল তাহলে ডোমেন সহ মাইগ্রেট করে ফেলবেন।
এখন আমি পড়ছি একটা বিপদে। এমন ইন্টারন্যাশনাল কোন কোম্পানি আমি সাজেস্ট করব যেন স্মুথ একটা এক্সপেরিয়েন্স দিতে পারি। সাইটগ্রাউন্ড থেকে যে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাকে তো আর যাইহোক যেনতেন কোম্পানি সাজেস্ট করতে পারি না।
- আর নিজেদের কোম্পানির কথা বললে সেটা কিভাবে নেয়।
যার তেমন পরিচয় নেই, কোন নামই শুনেনি কোনদিন সেটা বললে অনেকটা যেন “হাতি ঘোড়া গেল তল, গাধা বলে কত জল ” এর মত হয়ে যায় ব্যাপারটা।
তারপরও কনভিন্স করলাম অপশনাল হিসেবে জাস্ট এপ্রোচটা বুঝার জন্য। তিনি খুব আগ্রহভরে জানতে চাইলেন কি কি প্যাকেজ আছে, কত কেমন খরচ হবে।
আমি সুন্দর একটা কোট করলাম এবং উনি তাতে রাজি হলেন ডোমেনসহ ট্রান্সফার করে নিয়ে আসলাম।
সাইটগ্রাউন্ডের যে ফীচারগুলো পেলাম: উনার স্টার্টআপ প্ল্যান ছিল।
- 
– ওয়েবসাইট ব্যাকাপ থাকবে কিন্ত অনলি রিস্টোর করা যাবে ডাউনলোড করা যাবে না। অথচ আমাদের কোন রেস্ট্রিকশন নাই রিস্টোর, ডাউনলোড যা ইচ্ছা করা যাবে।
- 
– সাইট স্ক্যান করতে হলে এটার জন্য আলাদা স্ক্যানার সার্ভিসটি নিতে হবে। নাহলে ওদের সাপোর্টে নক করতে হবে যা আমরা ফ্রি ই দিয়ে থাকি।
- 
– ১০ জিবির প্ল্যান, ১টি মাত্র ওয়েবসাইট হোস্ট করা যাবে তাও ইনোড লিমিট বা ফাইল লিমিট দেয়া।
- 
– ম্যানুয়াল ব্যাকাপ ডাউনলোড করলে অনেক স্লো স্পিডে ডাউনলোড হয়।
- 
– ডোমেন প্রাইভেসীর জন্য এক্সট্রা ২০ ডলারের মত খরচ হয়।
- 
– যেহেতু সি প্যানেল না তাদের, তাই সিস্টেম বুঝতে একটু সময় লাগে।
- 
– ইন্টারন্যাশনাল মোটামুটি সব কোম্পানিই ম্যালওয়্যার এফেক্টেড হলে একাউন্ট সাসপেন্ডেড করে দেয়।
এই হলো সাইটগ্রাউন্ড সমাচার এবং আমার এক্সপেরিয়েন্স। আশা করি অনেকের জন্য এটা হেল্পফুল হবে।
ধন্যবাদ যারা ধৈর্য্য ধরে সময় নিয়ে পুরো কেইস স্টাডিটা পড়ছেন।
ধন্যবাদ যারা ধৈর্য্য ধরে সময় নিয়ে পুরো কেইস স্টাডিটা পড়ছেন।
.
ক্রেডিট: রায়হান সাদিদ।
——–
        
        
            
            
            
Leave a Reply